Header Ads

Header ADS

সবচেয়ে বড় ও সুন্দর বীচ বাংলাদেশের কক্সবাজার চলুন বেড়িয়ে আসি


cox's bazar sea beach



সমুদ্রের গর্জন কার না ভালো লাগে, সমুদ্রের তীরে চেয়ারে বসে ঢেউয়ের গর্জন শুনতে মন যে কোথায় হারিয়ে যাবে সেটা যে শুনেন সেই ই জানেন। প্রকৃতির এক অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।কক্সবাজার গেলে মনে হয় বিধাতা বুঝি সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্যই সৃষ্টি করেছেন এ সমুদ্র সৈকত। পাহাড়-সমুদ্রর মেল বন্ধন এ সমুদ্র সৈকত সত্যিই অপরুপ সুন্দর।বিশ্বের দীর্ঘতম এই সৈকতে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থীর ভীড় লেগেই থাকে। কক্সবাজার  গেছেন আর মন খারাপ করে ফিরে এসেছেন এমন ভ্রমন পিপাসু পাওয়া মুশকিল।

বিশ্বের দীর্ঘতম এই সৈকতে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থীর ভীড় লেগেই থাকে। ছোট বেলা থেকেই পত্রিকায় পড়ে কিংবা টিভির পর্দায় এর সৌন্দর্যের চিত্র দেখলেও বাস্তবে গিয়েছিলাম ডিসেম্বর মাসে অফিসিয়াল ট্যুরে। কক্সবাজার  গিয়ে কি পড়ে সমুদ্রের পানিতে নামবো, প্রতিদিন কয়টা কাপড় ভেজাবো, পাহাড়ে উঠবো কি পরে এমন ভাবনায় ব্যাগ বোঝাই করে পোশাক নিয়েছিলাম। আমার এ অবস্থা দেখে সবাই আমাকে প্রশ্ন করেছিলো সেখানে কী এক মাসের জন্য যাচ্ছি নাকি।ঢাকা থেকে সারারাত বাস ভ্রমন শেষে কক্সবাজার পৌছতে পৌছতে সকাল হয়ে গেলো। সারারাত বাস ভ্রমনের পর সকালে সূর্যের দেখা মিলে চট্টগ্রাম শহর অতিক্রম করা পর। ভোর হতেই মনের ব্যকুলতা বেড়ে গিয়েছিলো কখন দেখবো সমুদ্র ? তবে পথের দু পাশের প্রকৃতির সৌন্দর্য একটু হলেও মনের ব্যক্যুলতা কমিয়েছিলো। পাহাড়ি পথের দু পাশের সুউচ্চ বৃক্ষ দেখতে দেখতে কখন যে একেবারে সমুদ্রের কাছে চলে এসেছি টের পাইনি। তখন আমার বন্ধু সাংবাদিক নুরুজ্জামান লাবু নীল সমুদ্র দেখিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলো আমাদের গন্তব্য শেষপর্যায়ে। বাসটি এমন ভাবে সমুদ্রের দিকে এগুচ্ছিলো মনে হচ্ছিলো এই বুঝি বাস সবাইকে নিয়ে সমুদ্রের পানিতে ঝাপ দিবে। মন্দ কাজটি না করে বাসটি ডান দিকে টার্ন নিয়ে কলাতলি রোড হয়ে নির্ধারিত হোটেলের সামনে গিয়ে থামে।  বাস থেকে নেমে সবাই হোটেলে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বেড়িয়ে পড়ি সমুদ্র ভ্রমনে। কলাতলী রোডে দুই পাশে এমন ভাবে হোটেল কটেজ গড়ে উঠছে মনে হচ্ছিলো ঢাকার কোনো আবাসিক নগরীতে চলে এসেছি। যাই হোক দুই দিনের জন্য এসে এ নিয়ে না ভেবে দল বেধে চলে যাই কলাতলী ঘাটের সমুদ্র তীরে।বিজয় দিবসের বন্ধের ছুটিতে

natural beauty of  cox'sbazar sea beach
দেশী-বিদেশী হাজার হাজার দর্শণার্থী আমাদের আগেই সমুদ্র তীরে এসে হাজির। দর্শনার্থীদের পদচারণায় সমুদ্র তীর মুখোরিত হয়ে উঠেছে।  তীরে গিয়েই আমরা  একটি চেয়ার ভাড়া করে নিজেদের জিনিস পত্র রেখে পানিতে নেমে পড়ি। রৌদ্রজ্জকল আবাহাওয়ায় শীতের দিনেও তীরে শীতের কোনো আমেজ নেই।  শীত মামা কী এতো বড় সমুদ্রকে ভয় পেয়েছে। সেটা ভাবার কোনো কারণ নেই। আবহাওয়াগত কারণেই শীতকালে অন্যান্য এলাকা থেকে সমুদ্র তীর কম উত্তপ্ত থাকে।  তাই শীতের ভয় না পেয়ে আগতরা খুব আনন্দ নিয়েই সমুদ্রের পানিতে নামছে। সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের বিলিয়ে দিচ্ছে। হইহোল্লোড় করছে, যখন ঢেউ দূর থেকে এসে তাদের আঘাত হানছে তখন সবাই আনন্দে চিৎকার দিয়ে উঠছে। ছোট বড় সবাই দল বেধে সমুদ্রের পানিতে নামছে। সমুদ্র তীরে দর্শণার্থীদের আনন্দ উপভোগকে আরও বাড়িয়ে দিতে পাওয়া যায় ভাড়ায় চালিত বিভিন্ন রাইড। ঘোড়ার গাড়ি, স্ক্যাটিং গাড়ি, স্পোর্টস কার, স্পীট বোটে চড়ে আগতরা পর্যটকরা যে আনন্দ উপভোগ করছে, তার প্রমাণ আমার বন্ধু লাবু ও শফিক। তারা ঘোড়ায় চড়ে সমুদ্রে তীর দৌড়ানোর মজাটা মিশ করলো না। ঘোড়ার মালিকের সঙ্গে দরদাম করে চড়ে বসলেন ঘোড়ায়। তীর ধরে বহু দূর পর্যন্ত ঘুরে পুনারায় আমার সামনে ফিরে নেমে বলে, মিয়া বুঝলা না ঘোড়ায় চড়ার মজা। কেউ কেউ বালির মধ্যে নিজের পছন্দের মানুষের নাম লেখা, কবিতা লেখা থেকেও বিরত থাকছে না। পানিতে সাঁতার কাটা, দৌড় প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন মজাদার খেলা খেললাম। এর পর সমুদ্রের তীর ধরে লাবনী পয়েন্ট পর্যন্ত হেটে যাই। সমুদ্র তীরে মজা করতে করতে কখন যে দুপুর গড়িয়ে যাচ্ছে টের পাই নি। দুপুরের  মতো সমুদ্র দেখা শেষ করে  হোটেলে ফিরে  গোসল খাওয়া শেষ করে একটা ঘুম দিলাম।বিকেলে আসলাম পুনারায় সমুদ্র তীরে।  সমুদ্র তীরে যাওযার আগেই কলাতলী ঘাটের অস্থায়ী  শামুক-ঝিনুক সমাগ্রী, শুটকির দোকান সহ বিভিন্ন দোকানে ঘুরলাম।  এক কাপ চা পান করে শরীর থেকে ক্লান্তির আমেজটাও দূর করে নিলাম। সমুদ্রে ভাটা থাকায় ঝাউবন থেকে অনেকটা পথ শুকনো ও ধূসর বালু পাড়ি দিয়ে সমুদ্র তীরে গেলাম। সমুদ্র সকাল, সন্ধা, দুপর ও রাতে হরেক রুপ ধারণ করে তার প্রমাণ মিললো বিকেল বেলা। সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়েছে।  সূর্যের আলো এসে পরছে  সমুদ্রের পানিতে মনে হচ্ছে ঢেউগুলো বুঝি সূর্যের সঙ্গে দুষ্টুমি করছে। বাতাসে আদ্রতা বেড়ে যাওয়ায় গায়ে একটু শীতও অনুভব করছিলাম।  বিকেলে সমুদ্র তীরে মানুষ কম আসবে তা কিন্তু নয়। মনে হলো দুপুরের চেয়ে এখনই বেশি মানুষ। অনেকে বিকেলেও সমুদ্র স্নানে ব্যস্ত রয়েছে।  কেউ শামুক কুড়াচ্ছে। অনেক ছোট ছোট ছেলে মেয়ে সামুদ্রিক শামুক-ঝিনুকের মালা বিক্রিতে ব্যস্ত রয়েছে। তাদের মুখে একটা কথাই বেশি শুনা যাচ্ছিলো, নেন না একটা মালা। বেশি দাম দেওয়া লাগবে না। চেয়ারে বসে অনেকক্ষন সমুদ্রের গর্জন উপভোগ করে পশ্চিম আকাশে সূর্যকে ডুবিয়ে দিয়ে আমরা রওনা করলাম বার্মিজ মার্কেটের উদ্দেশ্যে। ভ্রমনের দ্বিতীয় দিন সকাল বেলা নাস্তা সেড়ে কয়েকটা জিপ ভাড়া করে রওনা করলাম ইনানী সমুদ্র সৈকত ও হিমছড়ি পাহাড়-ঝরণা দেখার উদ্দ্যেশে। সমুদ্র তীর ধরে পাহাড়ের পাদদেশে  নির্মিত মেরিন ড্রাইভ সড়কটি সত্যিই চমৎকার। মনে  হলো সমুদ্র সৌন্দর্যকে আরও সুন্দরভাবে উপভোগ করার জন্যই বুঝি এ সড়কটি বানানো হয়েছে। জিপের রেলিং ধরে দাড়িয়ে সমুদ্র ও পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য এ পথটি অসাধারণ একটি পথ। পাহাড়ি পথের দু ধারে সারি সারি সুপারি, নারিকেল সহ বিভিন্ন পাহাড়ি বৃক্ষ, আর এক পাশে সমুদ্রের ঢেউ ভাবলে পুনরায় যেতে ইচ্ছে করে। সমুদ্রের তীরে মাছ ধরার সাম্পানগুলোকেও আরও বেশি চমৎকার লাগছিলো। হিমছড়ি পাহাড় কে অতিক্রম করেই যেতে হলো ইনানী সমুদ্র সৈকতে।  ইনানী সমুদ্র সৈকতকে ঘিরে এখানেও একটা বাজার গড়ে উঠেছে। পর্যটক কেন্দ্রিক অনেক পণ্যের দোকান রয়েছে বাজারে। পেটের ক্ষুদা নিবারণের জন্য বাজার থেকে ডাব, কলা খেয়ে নিয়ে ছোট্ট একটা কাঠের সেতু পাড়ি দিয়ে পৌছালাম ইনানী সৈকতে। কলাতলী সৈকত থেকে খানিকটা কোলাহল মুক্ত প্রবাল ঘেরা এ সৈকতে এসে আমরা আরও বেশি অবিভুত হলাম। জোয়ার থাকায় প্রবাল গুলো একটু ডুবো ডুবো অবস্থায় ছিলো। খানিকটা পানি অতিক্রম করে গিয়ে উঠলাম প্রবালে। কক্সবাজারের পতিতালয় প্রবালে বসে ঢেউয়ের গর্জন শুনার মজাই আলাদা। সকালের শীতের পরিবেশে এ সৈকতটা অনেক ভালো লাগলো সবার। এ সৈকতে অনেকক্ষন মজা করে ফিরতি পথে এসে থামলাম হিমছড়ি ঝরণার সামনে। যেখানেই পর্যটকদের আনাগুণা সেখানেই গড়ে উঠেছে মার্কেট। এখানেও এর ব্যতিক্রম নেই। ঝরণাতে তেমন পানি না থাকলেও পর্যটকদের উৎসাহের কমতি কমেনি। সবাই ঝরণার নিচে গিয়ে একটু ভেজার চেষ্টা করছে। ঝরণার পানিতে পা ভেজাচ্ছে। ঝরণায় ভেজার আগে পাশেই টিকিট কেটে উঠলাম পাহাড়ের চূড়ায়। পাহাড়ের চূড়ায় উঠার জন্য বানানো হয়েছে । সিড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে হাপিয়ে গেলেও পাহাড়ের চূড়ায় উঠে মন ভালো হয়ে যায়।  সেখানে ছোট্ট একটা দালানাও তৈরী করা হয়েছে। এ দালানের ছাদে বসে ঝাউবনের ফাক দিয়ে নিচের মানুষগুলোকে অনেক ছোট ছোট মনে হচ্ছিলো। পাহাড়ের পাদদেশ, দূরের সমুদ্রের ঢেউ সবকিছুই বেশ ভালো লাগছিলো। মনে হচ্ছিলো এখানে সারা দিনই থেকে যাই কিন্তু আমাদের দল নেতা আলম ভাইয়ের তাড়ায় মন খারাপ করেই র্ফিরে আসতে হলো।

নতুন বছর বরুণে উপজাতীয় মেয়েদের জলকেলি
তার পরেও অল্প সময়ের জন্য হলেও হিমছড়ি পাহাড় ও ইনানী সৈকত বেশ উপভোগ করেছি।ভ্রমনের তৃতীয় দিন মানে শেষ দিন হোটেল থেকে রওনা করলাম মহেশ খালীর উদ্দেশ্যে। কক্সবাজার থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মহেশখালী যেতে সমুদ্রতীরবর্তী নদী পাড়ি দিতে হবে এটা শুনেই বেশ ভয় পেয়েছিলাম। কারণ ট্রলারে ১ ঘন্টা ও স্পিটবোটে ১৫ মিটিটের পথে সাগরে ঢেউয়ের মোকাবেলা করতে হবে। তারপরও আলম ভাইয়ের উৎসাহের কারণেই রওনা দিলাম মহেশখালীর উদ্দেশ্যে। হোটেল থেকে রিকশাযোগে ৬নং ঘাটে গিয়ে দেখি শত শত মাছ ধরার শাম্পান ঘাটে নোঙ্গর ফেলেছে। অসম্ভব সুন্দর একটি দৃশ্য। এ দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করতে একটু দেরি করলেন না ফটোগ্রাফার সুদীপ্ত সালাম। তিন দিন ধরে শত শত ছবি তুলেই চলছেন। অনেকক্ষন ঘাটের চায়ের দোকানে অপেক্ষা করে পাওয়া গেলো একটি স্পিট বোট। সেটা ভাড়া করতে গিয়েও একটু ঝামেলা পোহাতে হলো। স্পিটবোট ছাড়ার পরই একটু ভয় এসে বাসা বেেেধছিলো বুকে। যতই সামনের দিকে এগুচ্ছে ততই টেউকে মোকাবেলা করছে স্পিটবোট। এ ভয় দূর করার জন্য চারপাশে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখায় নিজেকে ব্যস্ত রাখলাম। সমুদ্রের উপর দিয়ে ঝাকে ঝাকে সাদা পাখি উউছে। কিছুক্ষন পর পরই মাছ ধরার ট্রলার আসা যাওয়া করছে এসব দৃশ্য আরও বেশি ভালো লাগছিলো। অবশেষে বিশাল লম্বা মানে তীর থেকে অনেকটা দূর পর্যন্ত সেতুর মতো নির্মিত জেটিতে এসে ভীড়ে স্পিট বোট। ঘাটে উঠার পরই পরলাম রিকশা ওয়ালাদের বিরম্বনায়। কে কার আগে রিকশায় উঠাবে। রিকশা ভাড়া শুনেতো মাথায় হাত। তাদের বর্ণনায় মহেশখালীর বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনার দূরুত্ব মাইলের পর মাইল। তাদের আগতদের দেখে বুঝে ফেলে নতুন এসেছে মহেশখালীতে। ৪০ টাকার রিকশা ভাড়া হাকান ২শত টাকা। অনেক দরদাম করে অবশেষে ৬০ টাকায় রিকশা ঠিক করে আমরা বিভিন্ন দর্শণীয় স্থান ও  স্থাপনা দেখার উদ্দেশ্যে রিকশায় উঠলাম। প্রথমইে গেলাম পাহাড়ের উপর নির্মিত আদিনাথ মন্দিরে। মন্দিরে উঠার সিড়িতে আদিবাসীরা তাতের তৈরী চাদর, গামছা, বিছানার চাদার বিক্রি করছে। হিন্দুধর্মালম্বীদের জন্য পূর্ণস্থানে এখানে অনেক দর্শনার্থীরা এখানে বসে বিশ্রাম নিচ্ছে। কেউ পুজা করছে। এর দক্ষিণ-পশ্চিম পাশের পাহাড়ের চূড়াতেও একটি শশ্মানের উপর মন্দির নির্মিত হয়েছে। পাহাড়ের চূড়া থেকে নিচে দেখা মিললো পানের রড়া। যেই মহেশখালীর পানের সারা দেশ জুড়ে সুনাম রযেছে। পাহাড় থেকে নামার পর গেলাম বৌদ্ধ মন্দিরে। মন্দিরে যাওযার পথে আদিবাসী জনপদ দেখেও ভালো লাগছিলো। মন্দিরে অনেক দর্শণার্থীর ভীড় লেগেছিলো। এই মন্দিরে গৌতম বুদ্ধের বিশাল মুর্তি রয়েছে। আগতরা তার ছবি তুলায় ব্যস্ত রয়েছে।গড়ে উঠেছে অসঙ্খ্য কক্সবাজারের পতিতালয়।

আদিনাথ বৌদ্ধ মন্দির
মন্দিরের সামনেই একটি আদিবাসীর বাড়িতে তাতের কাপড় তৈরী হচ্ছে। হস্তচালিত  তাতে তৈরী কাপড় উঠানে বিক্রি করছে আদিবাসী মেয়েরা। তাতের কাপড়ের কদরও বেশি রয়েছে তবে সুন্দরী মেয়ে বিক্রি করছে বলেই আমাদের কাপড় কেনার উৎসাহ বেশি ছিলো। কাপড় দেখার সময় সেটা প্রকাশ না করলেও হোটেলে ফিরে সবাই মহেশখালীর মেয়েটির সৌন্দর্যের প্রশংসা করেছে। মন্দিরের সামনে চা পান পান করে গেলাম শুটকি পল্লীতে। শুটকি পল্লী দেখে স্পিটবোট করেই ফিরলাম কক্সবাজারে। ফিরতি পথে কিন্তু স্পিটবোটে তেমন ভয় পাইনি। তখন স্পিট বোট দিয়ে সাগর তীর পাড়ি দিতে বেশ মজাই পাচ্ছিলাম। ভ্রমনের শেষ দিন হওয়াতে মহেশখালী থেকে কক্সবাজার হোটেলে ফিরে খাওয়া দাওয়া শেষ করে  লাবু ও লেলিনভাইকে নিয়ে পুনরায় গেলাম  সমুদ্র স্নানে। ইনানী সৈকতে প্রবাল দিয়ে হাত কেটে ফেলায় হাতের ব্যান্ডেজ নিয়েই নামলাম পানিতে। দীর্ঘক্ষন পানিতে ভিজে ফিরলাম হোটেলে। তখনও মনে হলো আর কয়েকঘন্টা পানিতে ভেজা যেতো। কিন্তু ঢাকায় তো ফিরতে হবে। ঢাকায় ফেরার আগে যে কাজটি করেছিলাম, প্রতিদিনই একবার করে বার্মিজ মার্কেটে গিয়েছি। পর্যটকদের কেন্দ্র করে বার্মিজ মার্কেটটি অনেক বড় হয়েছে। ঢাকায় অনেক জিনিস পাওয়া যায় তার পরেও কেনো জানি বার্মিজ মার্কেট থেকে আচার, বাদাম, পোশাকসহ অনেক কিছু কিনেছিলাম বার্মিজ মার্কেট থেকে। শুটকির মার্কেটেও ঢু মারতে ভূলিনি। ভ্রমণ সঙ্গী সবাই সেখান থেকে শুটকি কিনেছি। কলাতলী মোড় থেকে ২০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়েই যাওয়া যেতো বার্মিজ মার্কেট ও শুটকি পল্লীতে। তবে রিকশা ভাড়া নেওয়ার আগে দরদাম করে নেওয়াটাই ভালো। আর রাতের বেলায় একটু সাবধানে রিকশায় উঠতে হয়েছে। কারণ রিকশাওয়ালাদের মুখে এক কথা মামা বিয়ার লাগবে নাকি, আমার কাছে আছে। কক্সবাজারে ভ্রমণের সিজন সময় ছিলো বলে প্রত্যেক হোটেলে পর্যটক বেশি ছিলো । তাই হোটেল ভাড়াও ছিলো বেশি।  কক্সবাজারে গিয়ে একটু দরদাম করে হোটেলে উঠা উচিৎ। ঢাকা থেকে বাস ভাড়া নিবে জন প্রতি সাধারণ বাসে ৩৫০ থেকে ৫০০, স্পেশাল গাড়িতে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা।

আরো পড়ুনঃ

ভারতের ভেলোরে চিকিৎসা: কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, খরচ কেমন?


1 comment:

  1. মেয়েদের কথা জেনে নিন আমার সাইটে
    www.valobasargolpo2.xyz

    ReplyDelete

বিশ্বের সবচেয়ে বড় পতিতালয়ে আমার জীবন।(my life in the largest brothel in the world)

বিশ্বের সবচেয়ে বড় পতিতালয় হচ্ছে কলিকাতার সোনাগাছী যা ভারতে অবস্থিত। মুন্নি, যে সোনাগাছী যৌন পল্লীর এক জন যৌনকর্মী। আজকের তার নিজের কথা আ...

Powered by Blogger.