ইউরোপের দেশ লিচেনস্টিন ( europian country is lichenstin )
একটি দেশের নাম
লিচেনস্টিন। অনেকে চমকে
উঠবেন এই নামের কোনো দেশের নাম তো শুনিনি!
খোদ ইউরোপের কেন্দ্রস্থলে এটি অবস্থিত। দু’টি
স্থলপরিবেষ্টিত দেশ সুইজারল্যান্ড
ও অস্ট্রিয়া ঘিরে রেখেছে ক্ষুদ্র এ দেশটিকে। পৃথিবীর
কেবল আরেকটি দেশের এই অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মধ্য এশিয়ায় অবস্থিত এ দেশটির নাম উজবেকিস্তান। ইউরোপের
চতুর্থ ক্ষুদ্রতম লিচেনস্টেইন।
আশপাশের অন্য ইউরোপীয় দেশগুলো হলো জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি ও চেক প্রজাতন্ত্র। মাত্র ৬২ বর্গমাইলের এ দেশটির অর্থনৈতিক সামর্থ্য বিস্মিত হওয়ার মতো। বার্ষিক জাতীয় উৎপাদন প্রায় দুই শত কোটি ডলার। ৩৫ হাজার জনসংখ্যা অধ্যুষিত দেশটির মাথাপিছু জাতীয় উৎপাদন ৫৪ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি।
একনজরে লিচেনস্টিনআশপাশের অন্য ইউরোপীয় দেশগুলো হলো জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি ও চেক প্রজাতন্ত্র। মাত্র ৬২ বর্গমাইলের এ দেশটির অর্থনৈতিক সামর্থ্য বিস্মিত হওয়ার মতো। বার্ষিক জাতীয় উৎপাদন প্রায় দুই শত কোটি ডলার। ৩৫ হাজার জনসংখ্যা অধ্যুষিত দেশটির মাথাপিছু জাতীয় উৎপাদন ৫৪ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি।
দেশের নাম : প্রিন্সিপালিটি অব লিচেনস্টেইন
রাজধানী : ভাডুজ
আয়তন : ১৬০ বর্গকিলোমিটার
জনসংখ্যা : ৩৪ হাজার ৬শ’
প্রধান ভাষা : জার্মান
প্রধান ধর্ম : খ্রিষ্টান
গড় আয়ু : ৭৫ বছর (পুরুষ) ৮২ বছর (মহিলা)
মুদ্রা : সুইস ফ্রাঙ্ক
প্রধান রফতানি দ্রব্য : মেশিনারি, খাদ্যদ্রব্য ও স্ট্যাম্প
![]() |
natural beauty of lichenstin |
ছোট ছোট কয়েকটি জনপদ নিয়ে সৃষ্ট লিচেনস্টিন মূলত রাজারাই শাসন করছেন। গঠনের পর থেকে রাজ পরিবারের শাসন ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। ছোট্ট দেশটির জনপদ এখন অনেক সমৃদ্ধ। দেশটির রাজা বিশ্বের ষষ্ঠ ধনী শাসক। তার সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় চার শ’ কোটি ডলার। সরকারপ্রধান প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য চারজন মন্ত্রীর নিয়োগ দিয়ে থাকেন। দেশের এককবিশিষ্ট পার্লামেন্টের সদস্যসংখ্যা হচ্ছে ২৫ জন। সংসদে একটি আসন পেতে হলে যেকোনো দলকে কমপে ৮ শতাংশ ভোট পেতে হয়। আয়তন আর জনসংখ্যায় অত্যন্ত ক্ষুদ্র হলেও দেশটির অর্থনীতি সমৃদ্ধ। তাই জনগণের জীবনমান অনেক উঁচুতে। অসুখ-বিসুখে মৃত্যু, শিশু মৃত্যু আর মাতৃ মৃত্যুহার নেই বললেই চলে। জনসংখ্যার শতভাগ শিক্ষিত। দেশের মানুষের ভাষা জার্মান। আরও আঞ্চলিক কিছু ভাষা রয়েছে। জনসংখ্যার ৮৮ শতাংশ খ্রিষ্টান। এদের ৭৬ শতাংশ রোমান ক্যাথলিক সম্প্রদায়ভুক্ত। মুসলিম রয়েছে প্রায় ৫ শতাংশ। ৪ শতাংশ জনসাধারণের কোনো ধর্মীয় পরিচয় নেই। ক্ষুদ্র দেশের রাজপথের পরিমাণও কম। যানবাহন চলাচলের জন্য রয়েছে ২৫০ কিলোমিটার রাস্তা। রেল লাইন রয়েছে প্রায় দশ কিলোমিটারের মতো। তবে এ রাস্তাগুলো সংযুক্ত হয়েছে অস্ট্রিয়া আর সুইজারল্যান্ডের রাজপথ আর রেলপথের সাথে। দেশটিতে একটি হেলিপোর্ট রয়েছে। জনগণ বিমানে চড়ার জন্য সুইজারল্যান্ডের জুরিখ বিমানবন্দরকেই ব্যবহার করে। দেশটিতে ইউরোপীয় সম্মিলিত সংস্কৃতির প্রভাব রয়েছে। তবে জার্মানদের প্রভাবই সামাজিক জীবনে সবচেয়ে বেশি।
৩৫ হাজার জনসংখ্যার এ দেশে সব মিলিয়ে সংবাদপত্রের সার্কুলেশন ১০ হাজার। কিছু কমিউনিটি টেলিভিশন ও রেডিও স্টেশন থাকলেও ইউরোপের অন্যান্য দেশের স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠানই দর্শক শ্রোতাদের বিনোদন খোরাক যোগায়।
No comments